সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলন দমন করতে কুয়েট প্রশাসন ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বারবার তালিকাটি চাইলেও প্রশাসন কোনো তথ্য দেয়নি। অথচ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন—কুয়েট ছাত্রদলের সাতজন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, যখন শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা তথ্য জানতে পারছেন না, তখন সেই তালিকা কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের হাতে পৌঁছে যায়? এটি কুয়েট প্রশাসনের অস্বচ্ছতা ও দলীয় প্রভাবের একটি বড় উদাহরণ।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারবার ব্যর্থ হয়ে, বর্তমান ভিসি দলীয় ক্ষমতার ছত্রছায়ায় নিজের পদ আঁকড়ে রয়েছেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাকে আর ভিসি হিসেবে দেখতে চান না, সেখানে কীসের আকাঙ্ক্ষায় তিনি এখনো চেয়ারে বসে আছেন? কুয়েটে চলমান হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির আশঙ্কাই কি এর পেছনের প্রধান কারণ?
এই অগণতান্ত্রিক, অবিবেচক ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কুয়েট শিক্ষার্থীরা “প্রটেস্ট ডাই-ইন” কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্বার বাংলা চত্বরে প্রতীকীভাবে ‘গদি’ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে।
সর্বশেষ আপডেট পেতে যুক্ত থাকুন কুয়েট ১৯-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের সাথে।