৩০ এপ্রিল, ২০২৫
কুয়েট অ্যালামনাইয়ের ওপর হামলা

কুয়েট অ্যালামনাইয়ের ওপর হামলা

কুয়েট এলামনাই এর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

এবার আমাদের এলামনাই ভাই আক্রান্ত।

বিস্তারিত পড়ুন
২৬ এপ্রিল, ২০২৫
চার জন কুয়েট শিক্ষার্থীর উপর আবারো হামলা!

চার জন কুয়েট শিক্ষার্থীর উপর আবারো হামলা!

আজ সন্ধ্যায় ফুলবাড়িগেটে ৪ জন কুয়েট শিক্ষার্থীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা বকুলের সন্ত্রাসীরা। হামলার সময় তারা শিক্ষার্থীদের মারধর করতে করতে জিজ্ঞাসা করে—

১৮ ফেব্রুয়ারির হামলার প্রসঙ্গ টেনে:
"কুয়েট ভিসিকে কেন নামিয়েছিলে?"

বিস্তারিত পড়ুন
১৫ এপ্রিল, ২০২৫

প্রেস রিলিজ

গতকাল, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ - সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলা সিন্ডিকেট মিটিং শেষে, রাত আনুমানিক ১১টায় আমরা জানতে পারি - আমাদের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে আন্দোলনের সামনের সারির সাহসী শিক্ষার্থীরা।

আমরা রামদা চাপাতির কোপ খেয়েছি, পিস্তলের গুলি খেয়েছি, ভুয়া মামলার শিকার হয়েছি, এবার এলো বহিষ্কারের অমানবিক সিদ্ধান্ত। আমরা সবাই ক্ষোভে ফেটে পরি, আমরা এই অন্যায় বহিষ্কারাদেশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই।আমরা আমাদের হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য ডিপার্টমেন্টগুলোর সামনে গিয়ে স্যারদেরকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, একাত্মতা পোষণ জন্য অনুরোধ জানাই; কিন্তু কেউ আমাদের পাশে আসেনি। আমরা হলের প্রভোস্ট স্যারদের অনুরোধ জানাই, হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তারা তাদের অপারগতা জানায়।

গত ৪৮ ঘন্টা হল খোলার দাবি নিয়ে, আমরা খোলা আকাশের নিচে, খুলনার গরমে, রাতের মশার কামড় খেয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তায় ঘুমিয়েছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আমাদের হল তো খুলে দিলই না, বরং আমাদেরকে বহিষ্কার করা হল। আমরা আর এত অন্যায়, অবিচার সহ্য করতে পারছি না, খোলা আকাশের নিচে এরকম মানবেতর ভাবে থাকতে পারছি না। আমরা আর এই অবিচার সহ্য করব না। আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের হলগুলো মুক্ত করেছি।

আজকে, আমরা দুর্বার বাংলার সামনে একত্রিত হই, বিক্ষোভ মিছিল করি। আমরা আমদের এক দফা দাবি ঘোষণা করি - স্বৈরাচারী ভিসি মাছুদের অপসারণ।

এক দফা দাবিতে আমরা একা নই - আমাদের এলামনাই, ঢাকা-খুলনা-রাজশাহীসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা, সচেতন নাগরিক সমাজ সবাই রাস্তায় নেমেছে, প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি - আজ যদি আমাদের ভাইদের রক্তের দাম না চুকানো হয়, কাল এই স্বৈরাচার আপনার প্রতিষ্ঠানেও জেঁকে বসবে।

ভিসি মাসুদের হাতে আমরা কেউ নিরাপদ না। আমাদের এক দফা দাবি - স্বৈরাচারী ভিসির অপসারণ। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।

--সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিস্তারিত পড়ুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্ম হওয়ার আহ্বান

প্রেস রিলিজ
১৪ এপ্রিল ২০২৫

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্ম হওয়ার আহ্বান

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দীর্ঘদিন ধরে অকারণে বন্ধ রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক, একাডেমিক ও সামাজিকভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল "লং মার্চ টু কুয়েট" কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ফেরার ঘোষণা দেয় এবং সম্মিলিতভাবে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

প্রথমে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দিলেও, শিক্ষার্থীদের প্রবল চাপে তা ভেঙে পড়ে এবং অবশেষে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান ভিসি (যিনি শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবাঞ্ছিত হিসেবে চিহ্নিত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদ প্রশাসনের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের অনুমতি চাইলেও প্রশাসন রাত ৮টা পর্যন্ত সময় পাওয়ার পরও হল খুলে দেয়নি।

ফলে শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাত্রিযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী অবস্থান নেয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়, যাতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এই হামলার ঘটনায় এখনো কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং উল্টো আহত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আমরা, কুয়েট শিক্ষার্থীরা, এ অমানবিক, অগণতান্ত্রিক এবং শিক্ষাবিরোধী অবস্থার বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। আমাদের এই ন্যায্য দাবির আন্দোলনে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের, কলেজের, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

শিক্ষা আমাদের অধিকার, প্রশাসনের দোয়া নয়।
ভিসির অপসারণ এবং হল খুলে দেওয়ার দাবিতে,
আমরা এক, আমরা দৃঢ়, আমরা কুয়েট।

-- সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিস্তারিত পড়ুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫

অনতিবিলম্বে হল খুলে দেয়ার ব্যাপারে কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দের স্পষ্ট অবস্থান প্রসঙ্গে

প্রেস রিলিজ
১৪ই এপ্রিল, ২০২৫
অনতিবিলম্বে হল খুলে দেয়ার ব্যাপারে কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দের স্পষ্ট অবস্থান প্রসঙ্গে

আমরা আজকে দুপুরে Assistant DSW স্যারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আজকে সন্ধ্যা ৭ টায় জরুরী ভিত্তিতে সিন্ডিকেট মিটিং ডাকা হয়েছে। আমরা আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে। এবং আজ রাতেই হল খুলে দেয়ার নোটিশ আসবে যেনো আমরা আমাদের হলে আজকে রাতেই সুন্দরভাবে রাত্রিযাপন করতে পারি। আমরা চাইনা আর খোলা আকাশে নিচে মশার কামড় খেয়ে এখানে অবস্থান করতে। আমাদের হল আমাদের জন্য খোলা হোক। এছাড়াও আজকের সিন্ডিকেট মিটিং থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন আমরা আশা করবো শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে যেনো আমরা দ্রুত আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি। এছাড়াও আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, প্রশাসন যেনো কোনোভাবেই দলীয় স্বার্থ হাসিলের লক্ষে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরুপ সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা তৎক্ষনাৎ প্রত্যাখান করব এবং কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকব।

কুয়েট শিক্ষার্থীরা সর্বদা নির্ভিক। কোন হুমকি তাদের টলাতে পারবে না।

-সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিস্তারিত পড়ুন
১২ এপ্রিল, ২০২৫

কুয়েট প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়নের মিথ্যাচার এবং আমাদের ন্যায্য কথাকে "উস্কানিমূলক বক্তব্য" হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা প্রসঙ্গে

গতকাল ১১/০৪/২০২৫ তারিখ পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এর কার্যালয় থেকে একটি জরুরী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়ন করেছে বলে লেখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।আমাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রথম দাবিটি নিয়ে কুয়েট প্রশাসন আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে আই ওয়াশ করার চেষ্টা করেছে। আমাদের দাবিটি ছিলো অধ্যাদেশের ('কুয়েট আইন ২০০৩' এ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের) মাধ্যমে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। এই কুয়েট আইনে কর্মচারী এবং শিক্ষদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো কিন্তু ছাত্রদের ছিলো না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে Academic Ordinance এ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি যুক্ত করা হলেও যেকোনো সময়ই সেটি বাতিল করা যেতে পারে এবং এর রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো আইনী ভিত্তি নেই। আমাদের দ্বিতীয় দফাটি ছিল মামলার ব্যাপারে। আমরা বারবার বলে আসছি অজ্ঞাতনামা মামলার সাথে অন্তত চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং কুয়েটের শিক্ষার্থী যারা হামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা দিতে যা আজ পর্যন্ত হয়নি। আর "প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি" বিনা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিতে, বর্জনকৃত ভিসির আস্থাভাজন শিক্ষকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে যারা শিক্ষার্থীদের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে যাচ্ছে, জোর করে স্টেটমেন্ট নিতে চাচ্ছে। প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি দ্বারা প্রকাশিত কোন রিপোর্ট কিংবা আদেশ এবং এই তদন্তের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত আমরা কুয়েটের পাঁচ ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীই, কখনোই মেনে নেব না। আমাদের তৃতীয় দাবিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে বলা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে শিক্ষার্থীদের হলে আসা ঠেকাতে কুয়েট প্রশাসন পুলিশ মোতায়নের জন্য আবেদন করেছে। আবার কুয়েট প্রশাসন যদি প্রকৃতপক্ষে হামলার সময় পুলিশ প্রশাসন এর সাথে যোগাযোগ করে থাকে তাহলে সেই প্রমাণ অফিসিয়ালি প্রকাশ করে তাদের দায়িত্বের অবহেলার জন্য কেন শাস্তি চায় নাই, সেটাও একটি প্রশ্ন। এই সবকিছুর মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কুয়েট প্রশাসনের কতটুকু সদিচ্ছা আছে তা পরিষ্কারভাবেই প্রতিয়মান হয়।আমাদের চতুর্থ দাবিতে আহতদের সহায়তার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। আহতদের তালিকা এবং সহায়তা প্রাপ্তদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করলে আহতদের সংখ্যা নিয়ে যেকোন ধরণের চক্রান্ত প্রতিহত করা সম্ভব হবে।আমাদের পঞ্চম দ...

বিস্তারিত পড়ুন
১২ মার্চ, ২০২৫

প্রেস রিলিজ

১০ মার্চ, ২০২৫ তারিখ এক জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, কুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিটি অর্ডিন্যান্সে যোগ করেছে যেটি আমাদের আন্দোলনের একটি সফলতা। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আগে থেকেই অর্ডিন্যান্সে উল্লেখ ছিল। তবে, এই আইন কতটা কার্যকর তা নিয়ে আমরা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে কুয়েট ছাত্রদলের ফ্রন্ট, ভয়েজ অব কুয়েটের বিরুদ্ধে কথা বলায়, ভিসি অফিসে কর্মরত সেকশন অফিসার, মো: ইমদাদ মোড়ল, কুয়েটের একজন শিক্ষার্থীর থেকে মাইক কেড়ে নেয়। (সংযুক্তি ১: মাইক কেড়ে নেওয়া) উল্লেখ্য, মো: ইমদাদ মোড়লের নাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, খান জাহান আলী থানার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছে এবং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ এ স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে ছিল এবং নিয়মিত অন্যান্য রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকে। (সংযুক্তি ২: কমিটি, মিছিল, শীতবস্ত্র বিতরণ)। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে, এরকম প্রত্যক্ষভাবে পদধারী মানুষও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকতে পারে, তবে সে আইনের কার্যকারিতা ও প্রয়োগ নিয়ে আমরা গভীরভাবে শঙ্কিত। আর পরোক্ষভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিভাবে ব্যবস্থা নিবে তা আরো বেশি অনিশ্চিত।

কুয়েট প্রশাসনের প্রহসনমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা ও তদন্ত কমিটি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকটি প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।(সংযুক্তি ৩: প্রেস রিলিজ ১ মার্চ)(সংযুক্তি ৪: প্রেস রিলিজ ২ মার্চ) আমাদের চলাচল বন্ধ করে, আমাদের ভাইদের ওপর চিহ্নিত হামলাকারী(ইফাজ, ২কে২২) ক্যাম্পাসে মুক্ত স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়(সংযুক্তি ৫: ইফাজ) আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনা, যা নিতান্ত হাস্যকর এবং আমাদের ভাইদের রক্তের সাথে তামাশা করার শামিল।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - এ কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে যেই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, সেটি উল্লেখ করে আজ পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল বিবৃতি কুয়েট প্রশাসন দেয়নি। যেই মাসুদ স্যারের মদদে ক্যাম্পাসে রাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চলছিল, যেই মাসুদ স্যার ১৮ ফেব্রুয়ারিতে কুয়েট ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এত বড় হামলা থেকে আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যেই মাসুদ স্যারের প্রায় দেড় শ...

বিস্তারিত পড়ুন
০২ মার্চ, ২০২৫

দি ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রসঙ্গে।

দি ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত মাসুদ স্যারের, "আমরা তো সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের ৫টা দাবি মেনে নিয়েছি" মিথ্যাচার এবং '৫ টা দাবি পূরণ না হলে পদত্যাগ চাইতে পারে' বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রসঙ্গে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, আমরা কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছিলাম, কিভাবে ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে প্রশাসন আমাদের কোনো দফা দাবি না মেনেও, উত্থাপিত ৬ দফার পাঁচটি দাবি মেনে বাস্তবায়নের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল।
আজ ২ মার্চ, ২০২৫, আমরা আবারো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, মাসুদ স্যারের, 'দাবি মেনে নেওয়ার' বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
কিন্তু তার আগে আরেকা বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। মাসুদ স্যার বিভিন্ন মিডিয়াতে বলেছেন তার কাছে নাকি প্রথমে শিক্ষার্থীরা তার কাছে পাঁচ দফা নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পদত্যাগের দাবি নিয়ে যাওয়া হয়। দফাগুলো পেশের একদম শুরু থেকেই আমরা ছয় দফা দাবিই নিয়ে যাই। এমনকি যখন প্রেসব্রিফিং দেওয়া হয় তখনই পদত্যাগের দাবি উল্লেখ করা হয়। আমরা এর বিস্তারিত প্রমাণ (২৬ ফেব্রুয়ারী তারিখের প্রেস রিলিস) সুতরাং আমরা, এই ধরণের মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তু সৃষ্টির তীব্র নিন্দা জানাই।
দাবী ১ প্রসঙ্গে:
আমাদের প্রথম দাবিটি ছিল, "খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধীনস্থ সকলে কুয়েটের সাথে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কুয়েটের ভিতরে বাইরে, কোন প্রকার রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না, উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আজীবন বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়টি স্পষ্টভাবে উক্ত অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।" নিয়মের ফাঁক-ফোকর যেন না থাকে, আমরা সেই ধরনের স্পষ্টতা চাই অধ্যাদেশে।
মাসুদ স্যার যেই সিন্ডিকেট মিটিং(৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং) এর কথা বলছেন সেই মিটিং হয়েছিল, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে। মিটিং এর কার্যবিবরণীর (সংযুক্তি ১: ৯৮ তম সিন্ডিকেট মিটিং এর কার্যবিবরণী) প্রথম সিদ্ধান্তে, উল্লেখিত রয়েছে, ৯৩তম (জরুরী) অনুযায়ী স্মারক নং- খুপ্রবি/২৫৯/৬০ তা-১১/০৮/২০২৪ ইং মোতাবেক ঘোষিত রাজনীতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। এই লেখাটি শুধুমাত্র পূর্ববর্তী আদেশের পুনরুল্লেখ এবং আমাদেরকে আ...

বিস্তারিত পড়ুন
০২ মার্চ, ২০২৫

প্রেস রিলিস

IEB (Institute of Engineers, Bangladesh) গতকাল ০১/০৩/২০২৫ তারিখে কুয়েটের ইস্যুতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে প্রেসের সামনে তারা বিভিন্ন ভাবে ছাত্রদল কর্তৃক কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর হামলাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে। এইরকম নৃশংসহামলা কুয়েটের ইতিহাসে এর আগে কখনই হয়নি। IEB এর দেওয়া এ ধরণের বিবৃতিকে আমরা নিন্দা জানাই।
প্রথমত, IEB এর ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশল আব্দুল আল মামুন তার এক বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ছাত্রদল সেখানে ফর্ম বিতরণ করতে গিয়েছিলো। ফর্ম বিতরণ করা কি কোনো অপরাধ?
এই ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এইখানে তাহলে ফর্ম বিতরণ করাতো ছাত্ররাজনীতির অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা। তাদের ছাত্রদল কতৃক এই অপচেষ্টাকে স্বাভাবিকীকরণ করার চেষ্টা করাকে আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। এই বক্তব্য প্রমাণ করে তারা কুয়েটের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।
দ্বিতীয়ত, তিনি আরো বলেন যে ছাত্রদলের উপর হামলা করে গুপ্ত সংগঠন ও ফ্যাসিবাদের দোসররা।
এই ব্যাপারে আমরা বলতে চাই যে, আমাদের সেন্টিমেন্টকে নিয়ে ট্যাগিং এর রাজনীতি চালাবেন না। এই ধরণের ট্যাগিং আমরা ফ্যাসিবাদদের করতে দেখেছি। আপনারা ঘটনাকে ট্যাগিং করে অন্যদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা উলটো আপনাদের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ১৭ ফেব্রুয়ারী ছাত্রদল কুয়েটে এসে ফর্ম বিতরণের প্রতিবাদে, ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রতিবাদ স্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিসি স্যারের কাছে যাবার সময় - ছাত্রদের ফর্ম উত্তরণকৃত শিক্ষার্থীরা মিছিলের সামনে দিয়ে হাত তালি দেয় এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতি জড়ালেও সকলে মিলে ফর্ম উত্তরণকৃত ছাত্রদের নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে কুয়েট ছাত্রদল, খুলনা ছাত্রদল ও খুলনা যুবদলের ক্যাডাররা পকেট গেটের বাইরে এসে মাইকে স্লোগান দিয়ে উস্কানি দিতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা উস্কানির কোনো জবাব না দিলে এক পর্যায়ে তারা ইট, দা, ছুরি, রামদা এমন কি বন্দুক নিয়ে হামলা শুরু করে। সাধারণ ছাত্ররা নিরস্ত্র অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষা দিতে চেয়েছে কেবল। আর ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ঘটে যাওয়া হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। কখনোই আগে ছাত্রদলের কোনো হামলা করা হয়নি এবং এখানে কোনো গুপ্তসংগঠন অথবা ফ্যাসিবাদের দোসড় ছিলো না। যারা রক্তাক্ত হয়েছে, যারা নিজেদের, নিজের ক্যাম্পাসের ...

বিস্তারিত পড়ুন
০১ মার্চ, ২০২৫

প্রেস রিলিস

"প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি" নিয়ে কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দের স্পষ্ট অবস্থান:


আমরা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ এর প্রেস রিলিজে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, বর্জনকৃত ভিসি দ্বারা নিয়োগকৃত তদন্ত কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করা হয়নি; কোন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখা হয়নি এবং মাসুদ স্যার তার আস্থাভাজন এবং আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করা শিক্ষকদের নিয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এরকম প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি আমরা ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের আমলে দেখতে পেয়েছিলাম, যেগুলো মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আন্দোলনকে নস্যাৎ করা।
তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যানের পাঁচ দিন পরও, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি; তদন্ত কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি, এতে আমরা সকলেই গভীরভাবে শঙ্কিত। আমরা কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীরা মনে করছি, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মত প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটি, নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করে, যেকোনো উপায়ে আমাদের ন্যায্য আন্দোলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
ফ্যাসিবাদী কায়দায় গঠিত উদ্দেশ্য প্রণোদিত, প্রহসনমূলক তদন্ত কমিটিকে আমরা ঘৃণাভরে ভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং তদন্ত কমিটি দ্বারা প্রকাশিত কোন রিপোর্ট কিংবা আদেশ এবং এই তদন্তের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ের কোনো সিদ্ধান্ত আমরা কুয়েটের পাঁচ ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীই, কখনোই মেনে নেব না।
আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি, এই তদন্ত কমিটি যেন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোন প্রকার চক্রান্ত না করতে পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং আমাদেরকে অতি দ্রুত নতুন অভিভাবক উপহার দিতে। আমরা আমাদের নতুন অভিভাবকের অধীনে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত কমিটি গঠনের অপেক্ষায় রয়েছি।


সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিস্তারিত পড়ুন
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

এই নথিতে আমরা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, আমাদের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও দাবিসমূহ তুলে ধরেছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বর হামলা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা উপাচার্য ও প্রো-উপাচার্যের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে একত্রিত হয়েছি।

এই স্মারকে আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি, প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছি। আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আরও বিস্তারিত জানতে, সম্পূর্ণ নথিটি এখানে

বিস্তারিত পড়ুন
১৯ এপ্রিল, ২০২৫
চূড়ান্ত এবং সর্বশেষ কর্মসূচি

চূড়ান্ত এবং সর্বশেষ কর্মসূচি

দেখা হবে আগামীকাল দুপুর ২ টায় কুয়েট দুর্বার বাংলায় চূড়ান্ত এবং সর্বশেষ কর্মসূচি ঘোষণায়

বিস্তারিত পড়ুন
১৮ এপ্রিল, ২০২৫
Protest DIE-IN

Protest DIE-IN

সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলন দমন করতে কুয়েট প্রশাসন ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বারবার তালিকাটি চাইলেও প্রশাসন কোনো তথ্য দেয়নি। অথচ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন—কুয়েট ছাত্রদলের সাতজন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিস্তারিত পড়ুন
১৭ এপ্রিল, ২০২৫
শোকের গ্রাফিতিতে এক দফার ডাক

শোকের গ্রাফিতিতে এক দফার ডাক

ছাত্রদল ক্যাডারদের বর্বর হামলার দুই মাস অতিবাহিত এবং জুলাই গ্রাফিতি সহ ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অঙ্কিত সকল গ্রাফিতি মুছে ফেলার প্রতিবাদে আগামীকালকের কর্মসূচি- "শোকের গ্রাফিতিতে এক দফার ডাক"

বিস্তারিত পড়ুন
১৬ এপ্রিল, ২০২৫
মশাল মিছিল

মশাল মিছিল

আগুন শুধু নাহি বুকে
এখন আগুন প্রতিটি হাতে

বিস্তারিত পড়ুন

রক্তাক্ত কুয়েট, ২০২৫