গতকাল, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ - সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলা সিন্ডিকেট মিটিং শেষে, রাত আনুমানিক ১১টায় আমরা জানতে পারি - আমাদের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে আন্দোলনের সামনের সারির সাহসী শিক্ষার্থীরা।
আমরা রামদা চাপাতির কোপ খেয়েছি, পিস্তলের গুলি খেয়েছি, ভুয়া মামলার শিকার হয়েছি, এবার এলো বহিষ্কারের অমানবিক সিদ্ধান্ত। আমরা সবাই ক্ষোভে ফেটে পরি, আমরা এই অন্যায় বহিষ্কারাদেশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই।আমরা আমাদের হলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য ডিপার্টমেন্টগুলোর সামনে গিয়ে স্যারদেরকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, একাত্মতা পোষণ জন্য অনুরোধ জানাই; কিন্তু কেউ আমাদের পাশে আসেনি। আমরা হলের প্রভোস্ট স্যারদের অনুরোধ জানাই, হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। তারা তাদের অপারগতা জানায়।
গত ৪৮ ঘন্টা হল খোলার দাবি নিয়ে, আমরা খোলা আকাশের নিচে, খুলনার গরমে, রাতের মশার কামড় খেয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তায় ঘুমিয়েছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আমাদের হল তো খুলে দিলই না, বরং আমাদেরকে বহিষ্কার করা হল। আমরা আর এত অন্যায়, অবিচার সহ্য করতে পারছি না, খোলা আকাশের নিচে এরকম মানবেতর ভাবে থাকতে পারছি না। আমরা আর এই অবিচার সহ্য করব না। আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের হলগুলো মুক্ত করেছি।
আজকে, আমরা দুর্বার বাংলার সামনে একত্রিত হই, বিক্ষোভ মিছিল করি। আমরা আমদের এক দফা দাবি ঘোষণা করি - স্বৈরাচারী ভিসি মাছুদের অপসারণ।
এক দফা দাবিতে আমরা একা নই - আমাদের এলামনাই, ঢাকা-খুলনা-রাজশাহীসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা, সচেতন নাগরিক সমাজ সবাই রাস্তায় নেমেছে, প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। আমরা সবাইকে সতর্ক করছি - আজ যদি আমাদের ভাইদের রক্তের দাম না চুকানো হয়, কাল এই স্বৈরাচার আপনার প্রতিষ্ঠানেও জেঁকে বসবে।
ভিসি মাসুদের হাতে আমরা কেউ নিরাপদ না। আমাদের এক দফা দাবি - স্বৈরাচারী ভিসির অপসারণ। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।
--সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়