১০ মার্চ, ২০২৫ তারিখ এক জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, কুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিটি অর্ডিন্যান্সে যোগ করেছে যেটি আমাদের আন্দোলনের একটি সফলতা। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আগে থেকেই অর্ডিন্যান্সে উল্লেখ ছিল। তবে, এই আইন কতটা কার্যকর তা নিয়ে আমরা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে কুয়েট ছাত্রদলের ফ্রন্ট, ভয়েজ অব কুয়েটের বিরুদ্ধে কথা বলায়, ভিসি অফিসে কর্মরত সেকশন অফিসার, মো: ইমদাদ মোড়ল, কুয়েটের একজন শিক্ষার্থীর থেকে মাইক কেড়ে নেয়। (সংযুক্তি ১: মাইক কেড়ে নেওয়া) উল্লেখ্য, মো: ইমদাদ মোড়লের নাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, খান জাহান আলী থানার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছে এবং গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ এ স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে ছিল এবং নিয়মিত অন্যান্য রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকে। (সংযুক্তি ২: কমিটি, মিছিল, শীতবস্ত্র বিতরণ)। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে, এরকম প্রত্যক্ষভাবে পদধারী মানুষও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকতে পারে, তবে সে আইনের কার্যকারিতা ও প্রয়োগ নিয়ে আমরা গভীরভাবে শঙ্কিত। আর পরোক্ষভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিভাবে ব্যবস্থা নিবে তা আরো বেশি অনিশ্চিত।
কুয়েট প্রশাসনের প্রহসনমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা ও তদন্ত কমিটি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকটি প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।(সংযুক্তি ৩: প্রেস রিলিজ ১ মার্চ)(সংযুক্তি ৪: প্রেস রিলিজ ২ মার্চ) আমাদের চলাচল বন্ধ করে, আমাদের ভাইদের ওপর চিহ্নিত হামলাকারী(ইফাজ, ২কে২২) ক্যাম্পাসে মুক্ত স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়(সংযুক্তি ৫: ইফাজ) আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনা, যা নিতান্ত হাস্যকর এবং আমাদের ভাইদের রক্তের সাথে তামাশা করার শামিল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - এ কুয়েট ছাত্রদল এবং বিএনপির সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে যেই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, সেটি উল্লেখ করে আজ পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল বিবৃতি কুয়েট প্রশাসন দেয়নি। যেই মাসুদ স্যারের মদদে ক্যাম্পাসে রাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চলছিল, যেই মাসুদ স্যার ১৮ ফেব্রুয়ারিতে কুয়েট ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এত বড় হামলা থেকে আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যেই মাসুদ স্যারের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পরও বলে, 'আমি ব্যর্থ নই', আমাদের ভাইদের রক্তের দায়টুকু নিতে স্বীকার করে না, সেই স্যারকে গদীতে ধরে রাখার জন্য স্যাররা আমাদের রেজাল্ট নিয়ে হুমকি দেয়, পরিবার তুলে কথা বলে, যেই প্রশাসন আন্দোলনকে নশ্চাত করার জন্য একের পর এক মিথ্যাচার করে (সংযুক্তি ৬: প্রেস রিলিজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) জোরপূর্বক হল ভ্যাকান্টের জন্য পানি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ১৫ দিন পর ইন্টারনেট বন্ধের প্রহসনমূলক নোটিশ দেয়(সংযুক্তি ৭: ইন্টারনেট বন্ধের নোটিশ), ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার হরণ করে অপরাধীদের বিচরণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া স্বৈরাচারী প্রশাসনের কালো থাবায় থাকা কুয়েট ক্যাম্পাস আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। আমাদের উপর আরেকবার হামলা হবে না, আরেকবার আমাদের রক্ত ঝরবে না তার নিশ্চয়তা আমরা পাচ্ছি না।
যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন অভিভাবক না পাচ্ছি, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রশাসন না পাচ্ছি যারা আমাদের সকল দাবীসমূহ সম্পুর্ন মেনে নিয়ে কার্যকর করবে, আমাদের উপর হামলার বিচার করবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ভাইদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা আন্দোলন চলবে। আমরা আমাদের ভাইদের রক্তের সাথে বেইমানি করব না, প্রতি ফোঁটা রক্তের হিসাব নিয়েই ছাড়ব।